জীবনযাত্রা
স্বপ্নের শিউলি বেঁধেছি আমার খোপায় ,
পায়ে পরেছি পুলকের নূপুর ,
চোখে মেখেছি ভালবাসার কাজল ,
ভেবেছিলাম আয়নায় দাঁড়ালে আমার এই সাজ লাগবে বেমানান .
কিন্তু কই না তো !
এই তো, বেস মানিয়েছে !
চম চম করে নূপুর বাজাতে বাজাতে চললাম আমি তোমার কাছে .
কিন্তু তোমার কাছে পৌছানো কি অত্তই সহজ ?
সাথ সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে তোমার বাড়ি
পক্ষিরাজে চরে যেতে হয় সেখানে .
কিন্তু তাহলে কি হবে ?
আমার তো পক্ষিরাজ নেই!
তাহলে আমি তোমার কাছে যাই কি করে?
এই ভেবে কাঁদতে বসেছি ,
এমন সময় মন এসে উপস্থিত .
তাকে সব কথা খুলে বললাম .
সব শুনে সে বলল........
"এই কথা ! তোমার কোনো চিন্তা নেই ,আমার ডানায় ভর দাও...
আমি ভাসিয়ে নিয়ে যাব তোমায় জীবনের কাছে.
ভাসতে ভাসতে পৌছলাম সাত সমুদ্র তের নদীর পারে ...
সেই তেপান্তরের মাঠে .
অমনি ওখানে, মাথা এসে হাজির .
কোথায় যাচো ? কেন যাচ ? তোমার কি যাওয়া উচিত ?
এই সব নানান প্রশ্ন বনে সে আমায় করলো রক্তাক্ত .
বুজলাম জীবনের কাছে ,আমার আর যাওয়া হবে না
তাই মাথার পিটে চরে ,চল্লাম বাড়ি .
পথে খুল্লো আমার খোপা , ছিড়ল আমার নূপুর , ভিজলো আমর কাজল ...
জীবন ,তোমার কাছে যাওয়া হলো না আমর
তবে কিসের দুঃখ বন্ধু ?
মনের ডানায় ভর দিয়ে না পারি....
মাথার পিটে চড়েই তোমার কাছে যাব একদিন .
সেদিন তুমি হয়তো আর আজকের মত সবুজ থাকবে না ,
তবু তো তুমিই থাকবে!
সবুজ তুমি না থাক ধূসর তুমি থাকবে.